(ইমাম মাহদী (আঃ) এর আগমন এবং গাযওয়া ই হিন্দ শুরু)

আস্‘সালামু আলাইকুম। আমার নাম মোহাম্মাদ কাসীম। আমি পাকিস্তানে থাকি। আমি গাযওয়া-ই-হিন্দ এবং ইসলামের জেগে উঠা সম্পর্কে স্বপ্ন দেখেছিলাম। আমি আমার সত্য স্বপ্নে এই যুদ্ধ অনেক বার দেখেছি। এই যুদ্ধ পাকিস্তানের উপর আরোপিত হয় এবং আমরা আমাদের দেশ ও ইসলামকে রক্ষা করি। পৃথিবীতে ইসলামের বিরুদ্ধে এটি অত্যন্ত খারাপ একটি যুদ্ধ ছিল। এই যুদ্ধটি একমাত্র পাকিস্তানকে বাঁচানোর জন্যই ছিল না, এই যুদ্ধটি ইসলাম বাঁচানোর জন্যও ছিল। কারণ এই যুদ্ধের পূর্বে ইসলামের শক্তিশালী ২টি প্রধান দুর্গ তুর্কী ও সৌদিআরব ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। এবং যেহেতু পাকিস্তান ছিল ইসলামের শেষ দুর্গ, অতএব এটা অপরিহার্য ছিল ইসলাম রক্ষার জন্য ও পাকিস্তান রক্ষার জন্য। এই যুদ্ধের পূর্বে আল্লাহ্‌ পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে আমার স্বপ্নের কথা জানান। এবং নবী মোহাম্মাদ (সঃ) তাকে আমার স্বপ্ন সম্পর্কে সাক্ষ্য দেন যে, কাসীম তার স্বপ্ন সম্পর্কে কাউকে মিথ্যা বলছে না এবং তার স্বপ্নগুলো সত্য ও তা আল্লাহ্‌ হতে আসে, এবং ঠিক তেমনই হতে যাচ্ছে, যা আল্লাহ্‌ কাসীমকে স্বপ্নের মধ্যে দেখিয়েছেন। তারপর পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও পাকিস্তানী জনগণ আমার স্বপ্নগুলোকে আরো বিশ্বাস করতে থাকে। তারপর পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও পাকিস্তানী জনগণ সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করে ইসলাম ও পাকিস্তানকে বাঁচানোর জন্য। এবং তারপর যারা সত্যিই পাকিস্তানকে ভালবাসেন, এটা নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেন ও আমরা পাকিস্তানকে সকল রকমের অবিশ্বাসী রিতি থেকে বের করে আনি। এবং এমন একটি বিচার ব্যবস্থা গঠন করা হয় যে, বাকি বিশ্ব আশ্চর্য হয়ে উঠে, এবং এমন একটি সরকার ব্যবস্থাও গঠন করা হয়। তারপর পাকিস্তানের অগ্রগতি শুরু হয় এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতিও শুরু করা হয়, কিন্তু যে ধ্বংস শুরু হয় তুর্কী ও মধ্যপ্রাচ্যে। নতুন সন্ত্রাসী দল মধ্যপ্রাচ্যে গঠিত হবে। যখন পাকিস্তানের অগ্রগতি শুরু হয়েছিল তখন ভারত, পাকিস্তানকে হামলা করতে চেয়েছিল কিন্তু আল্লাহ্‌ পাকিস্তানকে সাহায্য করলেন শক্তিশালী ব্ল্যাক জেট ফাইটার দ্বারা এবং এটা দেখার পর ভারত, পাকিস্তানকে হামলা করে নাই। এবং পাকিস্তান অগ্রগতি ও যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য একটা সুযোগ পেল। কিন্তু অন্য দিকে ভারত ও তার মিত্ররা এবং সন্ত্রাসী দলগুলো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে। আমরা হামলা করে কাশ্মীরকে মুক্ত করি ও আমাদের প্রতিরোধ আরো শক্তিশালী হয়। ব্ল্যাক জেট ফাইটারের কারণে ভারত একা পাকিস্তানের উপর হামলা করতে সাহস পাবে না। এই ব্ল্যাক জেট ফাইটার দেখার পর সারা বিশ্ব থেকে অনেক মোসলমান পাকিস্তানে আসবে এবং ইসলাম পুনঃনির্মাণে তাদের ভূমিকা পালন শুরু করবে। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে অদৃশ্য থেকে সাহায্য করবেন। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে খুব বুদ্ধিমান করবেন তার করুণা দ্বারা। আমরা আমাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে বিমান ও জাহাজ তৈরি করব এবং স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়ে উঠব। এই যুদ্ধের আগে এক সময় একটি স্বপ্নের মাধ্যমে নবী মোহাম্মাদ (সঃ) আমাকে মদিনায় ডাকলেন। যখন আমি মক্কা ও মদিনায় গেলাম তখন আমি তাদের পরিত্যক্ত ও বন্য দেখেছি এবং আমি মানুষের মধ্যে অস্থিরতা ও অন্ধকার দেখেছি তাই আমি তাদেরকে বললাম যে, কিছু দিনের জন্য ধ্যর্য ধরতে হবে। আল্লাহ্‌ তার সাহায্যে সব কিছু ঠিক করবেন। যখন আমি ফিরে আসি তখন শত্রুরা পাকিস্তানে হামলা করার জন্য প্রস্তুত ছিল এবং আমরাও প্রস্তুত ছিলাম। আমার সত্য স্বপ্ন মতে নবী মোহাম্মাদ (সঃ) এই যুদ্ধে অলক্ষ্যে ও গোপনীয় ভাবে অংশগ্রহণ করেন যা শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারের জ্ঞানে ছিল। এবং তারপর খারাপ যুদ্ধ শুরু হয়, এবং পাকিস্তানের শত্রুরা নিশ্চিত ছিল যে, তারা পাকিস্তানকে ধ্বংস করে ফেলবে। কিন্তু আল্লাহ্‌র পরিকল্পনা অন্য কিছু ছিল ও আল্লাহ্‌ পাকিস্তানকে সাহায্য করলেন। এই যুদ্ধে মোসলমানরা কোন নাড়ী, শিশু, বৃদ্ধলোক, নিরস্র মানুষ ও যারা শান্তি স্থাপন করতে চায় তাদেরকে হত্যা করবে না। আমি জানিনা এইটা কত দিন ছিল কিন্তু এই যুদ্ধে পাকিস্তান জয়ী হয়েছিল আল্লাহ্‌র সাহায্যে। এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর আমি জানতে পারলাম যে, এই যুদ্ধে ৮০ কোটি (প্রায়) মানুষ হত্যা হয়েছে। তারপর আমি খুব কষ্ট পাই এবং আমি বলি যে, কেন এই যুদ্ধ আমাদের উপর আরোপিত হয়েছিল। তারপর আমি বললাম, আমরা শুধু নিজেদের রক্ষিত ও আমাদের শত্রুদের মৃত্যু চেয়েছিলাম। আমরা সকল নাড়ী, শিশু ও বৃদ্ধদেরকে সাহায্য করেছি এবং তাদেরকে একটি পরিবার হিসেবে গৃহীত করেছি ও তারা ইসলাম গ্রহণ করেছে। যেহেতু আমরা আল্লাহ্‌র সাহায্যে এই যুদ্ধে জয়ী হয়েছি এবং শত্রুরা পরাজিত হয়ে ফিরে গেছে, তখন আল্লাহ্‌র সাহায্যে পূর্ব থেকে সারা পৃথিবীতে মোসলমানরা বেড়িয়ে আসেন তাদের হারানো অঞ্চল পুনরুদ্ধার করতে। সেখানে আমাদেরকে থামানোর কেউ ছিল না। এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও নির্যাতন ধ্বংস হয়েছিল। আমরা আল্লাহ্‌র সাহায্যে পুরো পৃথিবীতে সত্য ইসলাম বিস্তার করি ও সারা পৃথিবীতে শান্তি পরিপূর্ণ হয়। পৃথিবীতে আবারো ইসলাম ছড়িয়ে পরে এবং প্রত্যেকেই জানতে পারে যে, মোহাম্মাদ (সঃ) এর প্রকৃত ইসলাম শান্তিতে পরিপূর্ণ। সব জায়গায় ছিল আল্লাহ্‌র রহমত ও অনুগ্রহ। সব জায়গা ছিল রিজিকে পূর্ণ এবং কেউ দুঃখিত ও গরীব ছিল না। সবমিলিয়ে আল্লাহ্‌ আমাদের উপর খুশি ছিলেন এবং কয়েক বছর পর দাজ্জাল বেড়িয়ে আসে। দয়াকরে এই স্বপ্নগুলো অন্যদের সাথে শেয়ার করুন এবং আমার অন্যান্য স্বপ্নগুলো সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্য, দয়াকরে আমাদের ফেসবুক পেইজ ও ইউটিউব লিংকগুলোতে দেখুন। জাযাকাল্লাহু খাইরান।

Comments

Popular posts from this blog

(প্রেসিডেন্ট এরদোগানের মৃত্যু ও তুর্কীতে ধ্বংস এবং ৩য় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা)

মোহাম্মাদ কাসীম কে ???