(আল্লাহ্ এবং মোহাম্মাদ (সঃ) মোহাম্মাদ কাসীমের স্বপ্নে)

আস্‘সালামু আলাইকুম। আমার নাম মোহাম্মাদ কাসীম। আমি পাকিস্তানে থাকি। আমার ঈমান হল যে- আল্লাহ্‌ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং মোহাম্মাদ (সঃ) আল্লাহ্‌র শেষ নবী ও রাসূল। এবং আমি মোহাম্মাদ (সঃ) এর উম্মত। আমি গর্বিত যে, আমি মোহাম্মাদ (সঃ) এর উম্মত। আল্লাহ্‌ এবং মোহাম্মাদ (সঃ) আমাকে বলেছেন, আমার স্বপ্নগুলো অন্যদের সাথে বলতে এবং এই সবই আমি করছি। আমার বয়স তখন ১২, ১৩ বছর ছিল, যখন প্রথম বারের মত আল্লাহ্‌ ও মোহাম্মাদ (সঃ) উভয়ে আমার স্বপ্নের মধ্যে আসেন। তারপর ১৯৯৩ সালে যখন আমার বয়স ১৭ বছর ছিল, তখন থেকে আল্লাহ্‌ এবং মোহাম্মাদ (সঃ) নিয়মিত ও অবিরত ভাবে আমার স্বপ্নের মধ্যে আসতে শুরু করেন। এবং এখনো আল্লাহ্‌ এবং মোহাম্মাদ (সঃ) আমার স্বপ্নের মধ্যে আসেন। আমি গত ২৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে এইসব স্বপ্ন দেখতেছি। এতদূর আল্লাহ্‌ আমার স্বপ্নে আসেন ৫০০ বারেরও বেশি বার এবং মোহাম্মাদ (সঃ) আমার স্বপ্নে ৩০০ বারেরও বেশি বার আসেন। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর মাসের একটি স্বপ্নে আমি দেখি আল্লাহ্‌ বলেছেন- কাসীম, যতক্ষণ পর্যন্ত মুসলমানরা বিশ্বাস করবে না যে, তোমার স্বপ্নগুলো সম্পূর্ণ সত্য এবং সব কিছু সঠিক ভাবে ঘটতে যাচ্ছে, যেভাবে আমি তোমাকে স্বপ্নের মধ্যে বলেছি। ততক্ষণ পর্যন্ত আমি মুসলমানদের অবস্থার পরিবর্তন করব না। এবং তারা একই অবস্থায় থাকবে এবং আমি তাদেরকে প্রত্যেকটি দিক থেকে সংকুচিত করব। আমি আল্লাহ্‌র দিকে তাকাই না, আমার স্বপ্নের মধ্যে আমি শুধু অনুভব করি যে, আল্লাহ্‌ আরশে আছেন এবং কণ্ঠ সেখান থেকে আসছে। বা আমি দেখি যে, নূর। এবং কণ্ঠ, নূর থেকে আসছে। বা আল্লাহ্‌ আকাশ থেকে আমার সাথে কথা বলছেন। প্রত্যেকটি স্বপ্নের মধ্যে আমি অনুভব করি, আল্লাহ্‌ আমার ঘাড়ের শিরার কাছে আছেন। আমি মোহাম্মাদ (সঃ) এর মুখমণ্ডলের দিকে তাকাই না, আমি মোহাম্মাদ (সঃ) এর শরীর দেখি। এক স্বপ্নে আমি মোহাম্মাদ (সঃ) এর সাথে আলিঙ্গন করি এবং আমার সম্পূর্ণ শরীর আমাকে সাক্ষী দেয় যে, তুমি মোহাম্মাদ (সঃ) এর সাথে আলিঙ্গন করতেছ। আমার স্বপ্নগুলোর মধ্যে আমি অনেক বার মোহাম্মাদ (সঃ) এর সাথে হাত মিলিয়েছি এবং আমার হাত আমাকে সাক্ষী দেয় যে, আমি মোহাম্মাদ (সঃ) এর সাথে হাত মিলিয়েছি। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসের একটি স্বপ্নের মধ্যে আমার জীবনের প্রথম বারের মত আমি মোহাম্মাদ (সঃ) এর চোখের দিকে তাকাই। যখন আমার চোখ মোহাম্মাদ (সঃ) এর চোখের দিকে তাকাল, তারপর তারা স্থায়ী হয়ে গেল। এবং আমি দূরে তাকাতে পারিনি। আমি অনুভব করি, মোহাম্মাদ (সঃ) এর চোখকে আল্লাহ্‌ তার সকল নূর দিয়ে পূর্ণ করে দিয়েছেন। এটা ছিল আমার জন্য একটি অবিশ্বাস্য মুহূর্ত। ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বরের স্বপ্নে আল্লাহ্‌ আমাকে জিজ্ঞাসা করেন- কাসীম, মুসলমানরা কী তোমাকে বিশ্বাস করে ? আমি আল্লাহ্‌কে বললাম- না, শুধুমাত্র কিছু মানুষ, তাদের ছাড়া আর কেউ করেনি। তারপর আল্লাহ্‌ বলেন- কাসীম, যদি তারা তোমাকে বিশ্বাস না করে, তবে আমি তাদেরকে প্রচন্ডভাবে ঝাঁকি দিব এবং আমি তাদেরকে পরস্পরের সাথে যুদ্ধ করাব। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তোমাকে বিশ্বাস না করবে, তারা এভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। তারপর আমি দেখি যে, মুসলমানরা একে অপরের সাথে যুদ্ধ শুরু করেছে এবং বাকি মুসলমানরা এখন খুব তীব্র হয়ে উঠেছে যে, এখন কী হবে এবং তারা কিভাবে যুদ্ধ থামাবে ? এবং তারপর ঐ লোকগুলো, যারা আমার স্বপ্নগুলো সম্পর্কে জানে কিন্তু তারা এতে বিশ্বাস করেনা (বড় মানুষগুলো সহ) এবং ঐ লোকগুলো, যারা আমার স্বপ্নগুলোকে বিশ্বাস করা হতে অন্যদেরকে বাঁধা দিত। তারপর তারা আমার স্বপ্নগুলোকে বিশ্বাস করল এবং আমার স্বপ্নগুলোকে অন্যদের সাথে বলল। এবং তারপর এই খবর সারা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে গেল। ১৯৯৪ সালের স্বপ্নের মধ্যে আল্লাহ্‌ আকাশ থেকে আমার সাথে কথা বলেন, সেই শব্দগুলো আমার এখনো মনে আছে, আমি এটাকে বাংলায় অনুবাদ করার চেষ্টা করছি- কাসীম, যেসব প্রতিশ্রুতি আমি তোমার সাথে করেছি, একদিন আমি আমার সকল প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করব। এবং যদি আমি আমার প্রতিশ্রুতিগুলো পূর্ণ করতে না পারি, তাহলে আমি সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা নই। সেইদিন থেকে আমি আল্লাহ্‌র জন্য অপেক্ষা করা শুরু করেছি। এবং আমি আমার আশা হারাই না। কিন্তু যখনই আমার আশা হারানোর মত হয়, আল্লাহ্‌ বা মোহাম্মাদ (সঃ) আমার স্বপ্নের মধ্যে আসেন এবং আমাকে এভাবেই বলেন যে- সাব্রুন জামীল কাসীম। কাসীম, শুধুমাত্র অমুসলিমরাই তাদের আশা হারায়। কাসীম, মুসলমানরা তাদের আশা হারাতে পারে না। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের স্বপ্নে আল্লাহ্‌ আমাকে বলেন- কাসীম, তুমি মোহাম্মাদ (সঃ) এর শেষ উম্মত হিসেবে এই পৃথিবীতে মারা যাবে। তার মানে হল, আমার মৃত্যুর পর এই পৃথিবীতে আর কোন মুসলমান অবশিষ্ট থাকবে না, কিন্তু শুধু খারাপ মানুষ থাকবে এবং তাদের উপর কেয়ামত নাযিল হবে। আরেকটি স্বপ্নের মধ্যে আল্লাহ্‌ আমাকে বলেছেন- কাসীম, আমি আল্লাহ্‌, আমার সকল প্রতিশ্রুতিগুলো আগামী ১৩ বছরের মধ্যে পূর্ণ করে দিব। যে প্রতিশ্রুতিগুলো আমি আল্লাহ্‌, তোমার সাথে করেছি। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের স্বপ্নে মোহাম্মাদ (সঃ) আমাকে বলেন- কাসীম, আমার ছেলে, তোমার আশা হারাবে না। তুমি তোমার ভাগ্যের খুব নিকটে, আল্লাহ্‌ তোমাকে সাহায্য করছেন। আমার ছেলে, শুধু অল্প একটু অপেক্ষা কর। আল্লাহ্‌ আমাকে অনেক স্বপ্নে এমন বলেছেন- কাসীম, একদিন আমি তোমাকে সাহায্য করব এবং তোমাকে সাফল্য দিব এবং আমি আমার সকল প্রতিশ্রুতিগুলো পূর্ণ করব, এমনকি যদি শুধুমাত্র একদিনও কেয়ামত থেকে বাকি থাকে। এবং সমগ্র বিশ্ব তোমার সাফল্য দেখবে। কিন্তু আল্লাহ্‌ আমাকে বলেননি কখন সেই দিন আসবে। এবং আমি আল্লাহ্‌র জন্য গত ২২ বছরেরও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করছি এবং এখনো আমি আল্লাহ্‌র জন্য অপেক্ষা করছি। গত ২২ বছরে আমি আমার আশা হারাইনি এবং আমি জানিনা, কখন বা কিভাবে আমি আমার ভাগ্যে পৌঁছাবো। অনেক মানুষ আমাকে বলেছিলেন, আপনি মানসিকভাবে অসুস্থ বা এটা শয়তান, যার কারণে আপনি এসব স্বপ্নগুলো দেখছেন। আমি অনেক লোকের কাছে এটা নিশ্চিত করেছি, আমি মানসিকভাবে অসুস্থ নই এবং এটা শয়তান নয়। আমি আল্লাহ্‌ এবং মোহাম্মাদ (সঃ) কে বিশ্বাস করি এবং তারা আমার স্বপ্নে আসছেন। বহুবছর আগে এক স্বপ্নে আল্লাহ্‌ আমাকে বলেছেন- কাসীম, ঘুমানোর আগে শেষ ৩ কুল পড় এবং তারপর ঘুমাও, তাহলে শয়তান তোমার কাছ থেকে দূরে থাকবে। এবং গত বহুবছর ধরে আমি এই কাজ করছি। ২০১৪ সালের জানুয়ারী মাসের স্বপ্নে আল্লাহ্‌ আমাকে বলেছেন- কাসীম, ২০ বছর আমি তোমাকে পরীক্ষা করেছি, আমি এটা দেখতে চেয়েছিলাম যে, তুমি কী তাদের মতই একজন কি না। যারা আল্লাহ্‌র রহমত থেকে নিরাশা হয়। দয়াকরে এই স্বপ্নগুলো অন্যদের সাথে শেয়ার করুন এবং আমার স্বপ্ন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্য, দয়াকরে আমাদের ইউটিউব লিংক গুলিতে দেখুন। জাযাকাল্লাহু খাইরান।

Comments

Popular posts from this blog

(ইমাম মাহদী (আঃ) এর আগমন এবং গাযওয়া ই হিন্দ শুরু)

(প্রেসিডেন্ট এরদোগানের মৃত্যু ও তুর্কীতে ধ্বংস এবং ৩য় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা)

মোহাম্মাদ কাসীম কে ???